নিজস্ব সংবাদদাতা:
টাঙ্গাইল জেলার সাংস্কৃতিক কর্মকর্তা খন্দকার রেদওয়ানা ইসলামকে শ্বাসরোধে হত্যার প্রতিবাদে ও দায়ী ব্যক্তিদের শাস্তির দাবিতে নারায়ণগঞ্জে মানববন্ধন করেছে সাংস্কৃতিক কর্মীরা। বুধবার (৩১ মার্চ) সকাল ১১টায় নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে জেলা শিল্পকলা একাডেমির উদ্যোগে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন শেষে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেন তারা। জেলার সাংস্কৃতিক কর্মকর্তা রুনা লায়লার সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি ও ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির জেলা আহবায়ক চন্দন শীল, বাংলাদেশ মানবাধিকার কাউন্সিল নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি ও দৈনিক সবারকন্ঠ পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক ফয়েজ উদ্দিন আহমদ লাভলু, নাট্যকর্মী এম.আর. হায়দার রানা, বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের ঢাকা বিভাগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য উত্তম কুমার সাহা, সম্মিলিত নাট্যকর্মী জোট নারায়ণগঞ্জের সভাপতি মোঃ হুমায়ূন কবীর, বিটিভির জেলা প্রতিনিধি মোঃ আতাউর রহমান, জেলা শিল্পকলা একাডেমির অভিনয় প্রশিক্ষক আবু হানিফা মাছুম, সঙ্গীত প্রশিক্ষক যুথী সরকার ও উত্তম সাহা, জনেজন নাট্য স¤প্রদায়ের প্রতিনিধি কাজী বদরুল ইসলাম খোকন প্রমূখ। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আজকে যারা বাঙালি জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে বাঙালি সংস্কৃতিকে বিকশিত করতে চান তাদের উপর বারবার আঘাত আসছে। এই স্বাধীনতা বিরোধী চক্র এবং পাকিস্তানি প্রেতাত্মারা আমাদের সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডকে স্তব্ধ করে দিতে চায়। আমাদের রেদওয়ানা আপা ও তার নবজাতক শিশু দুজনেই খুব অসুস্থ ছিলো। এই হত্যার পেছনে হত্যাকারীরা নয় বরং একজন নির্দিষ্ট হত্যাকারী দায়ী আর তিনি হলেন তার স্বামী দেলোয়ার হোসেন মিজান। এ হত্যাকান্ডের চারদিন হয়ে গেছে এখনও কাউকে গ্রেফতার করা হলো না। হাসপাতালে সিসিটিভি ও প্রত্যক্ষ স্বাক্ষী আছে এবং তারা দেখেছেন এই মিজান কেবিনে প্রবেশ করেছেন এবং হত্যা করে বেরিয়ে যাচ্ছে। আমাদের মতে এই মিজান বাইরের কেউ নন বরং তিনি পাকিস্তানি প্রেতাত্মাদের একটা অংশ। তিনি শুধু তার স্ত্রীকে হত্যা করে নাই, তিনি বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গণে আঘাত হেনেছে। সেই মিজান এখনও গ্রেফতার হয়নি, আমরা এ ঘটনায় ক্ষুদ্ধ ও বিচলিত। বক্তারা আরও বলেন, আমরা এ নির্মম হত্যাকান্ডের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমদের আস্থা ও প্রত্যাশার জায়গা হচ্ছে জাতির জনকের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাই আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আবেদন রাখবো তিনি যেন এ হত্যাকান্ডের ঘটনাটি অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখেন। কারণ আমরা কোন হত্যাকান্ডকে সমর্থন করি না এবং হত্যাকারী যেই হোক না কেন তাকে আইনের আওতায় আনতে হবে এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। এ সময় রেদওয়ানা হত্যাকান্ডে জড়িতদের গ্রেফতার করে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান নেতৃবৃন্দ।মানববন্ধনে সংহতি প্রকাশ করে উপস্থিত ছিলেন, সৃষ্টি গ্রুপ থিয়েটারের জাফর রহমান, আনন্দ থিয়েটারের শাহ আলম ভূঁইয়া, নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক একাডেমির সেক্রেটারী আব্দুল মান্নান সাগর, সূচনা থিয়েটারের মজনু হায়দার, নৃত্য প্রশিক্ষক হারুনুর রশীদ, নাট্যকর্মী বদিউজ্জামান ও কুমকুম, কন্ঠশিল্পী শফিক উল্লাহ সজল, মডেল ও অভিনেতা হৃদয় খান সহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।